পুরো ২০২১ সালের ক্রিপ্টো বাজারের পারফরম্যান্সকে সারসংক্ষেপ করতে গিয়ে বিশ্লেষকরা বছরটিকে 'উন্মাদনা' হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। প্রকৃতপক্ষে, ২০২১ সাল বাজারের অনুঘটক হিসেবে পরিচিত ডিজিটাল টোকেনের সাথে পরোক্ষভাবে সম্পর্কিত ঘটনাবহুল একটি বছর। ২০২২ সালের প্রথম দিকে, ক্রিপ্টো বিনিয়োগকারীরা চলতি বছরের বাজারের সম্ভাবনা নিয়ে বিভ্রান্তিতে রয়েছে। গত বছর, ফ্ল্যাগশিপ ক্রিপ্টোকারেন্সি হিসেবে পরিচিত বিটকয়েন $70,000-এর সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্যে পৌঁছেছিল। মিম কয়েনের সামগ্রিক বাজার মূলধনও $১ বিলিয়ন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিটকয়েনের সাথে যুক্ত প্রথম এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ড ওয়াল স্ট্রিটে সফলভাবে আত্মপ্রকাশ করেছে। অন্যদিকে, বেইজিং ক্রিপ্টো ইন্ডাস্ট্রির উপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে, যার ফলে মাইনিং কোম্পানিগুলো এবং ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জ প্ল্যাটফর্মগুলো চীন ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। সর্বোপরি, ক্রিপ্টো বাজারের বহুল আলোচিত অস্থিতিশীলতা সত্ত্বেও পুরো ২০২১ সালের মতো এমন অস্থিতিশীলতা আগে কখনো দেখা যায়নি। বছরের শুরু থেকে, প্রাতিষ্ঠানিক এবং খুচরা বিনিয়োগকারী উভয়ই তাদের পোর্টফোলিও পর্যালোচনা করে ডিজিটাল টোকেনের জন্য বড় আকারের শেয়ার বরাদ্দ করেছিল। ক্রিপ্টোকারেন্সিগুলি বার বার খবরের শিরোনাম হয়েছে এবং ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান করা শব্দগুলির মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে৷ এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে অনেক নতুন বিনিয়োগকারী ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগ করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে। ঘরে থাকার নির্দেশনা মেনে, বিপুল সংখ্যক ট্রেডার ক্রিপ্টো সম্পদে অতিরিক্ত তহবিল বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যদিও আর্থিক নজরদারির কারণে এই খাতে চরম অস্থিরতার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।

বিশেষজ্ঞরা মিম ক্রিপ্টোকারেন্সির বিপুল জনপ্রিয়তার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এনিগমা সিকিউরিটিজের গবেষণা প্রধান এবং ক্রিপ্টো ব্রোকার জোসেফ এডওয়ার্ডস বলেছেন, এই ঘটনা বৈশ্বিক আর্থিক গতিশীলতার সাথে সম্পর্কিত। প্রকৃতপক্ষে, ট্রেডাররা তাদের অলস অর্থ ডজকয়েন এবং শিবা ইনুর মতো সম্পদে বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।